তুরস্ক ফুটবলে বড় কেলেঙ্কারি: বাজির অভিযোগে গ্রেফতার ও স্থগিতের ঝড়

ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট বললেন— “এটি তুর্কি ফুটবলের নৈতিক সংকট”

তুরস্কের ফুটবলে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছে বড় ধরনের অস্থিরতা। ফুটবল ম্যাচে বাজি ধরা এবং ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সন্দেহে একের পর এক তদন্ত, গ্রেফতার ও স্থগিতাদেশের ঘটনা ফুটবলপ্রেমীদের চমকে দিয়েছে।

কী ঘটেছে আসলে?

তুরস্কে ফুটবল ম্যাচে অবৈধ বাজির অভিযোগে এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ১,০০০-এরও বেশি খেলোয়াড় তদন্তের মুখে পড়েছেন। তাদের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সোমবার পুলিশ Eyupspor ক্লাবের চেয়ারম্যান মুরাত ওজকয়া এবং আরও সাতজনকে আটক করে। এছাড়া শীর্ষ লিগে একসময় খেলা ২৭ জন খেলোয়াড়কেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

জাতীয় দলের খেলোয়াড়ও জড়িত

গ্যালাতাসারায়ের ডিফেন্ডার এবং তুরস্ক জাতীয় দলের খেলোয়াড় এরন এলমালি এই তালিকায় আছেন।
তার দাবি—
৫ বছর আগের এক ঘটনায় তিনি এমন এক দলের ম্যাচে বাজি ধরেছিলেন, যেটি তার নিজের দল ছিল না। তারপর আর কখনো বাজি ধরেননি।

রেফারিদের মধ্যেও বাজির ঝড়

এই কেলেঙ্কারির সবচেয়ে চমকপ্রদ তথ্য এসেছে তুরস্ক ফুটবল ফেডারেশন (TFF)-এর তদন্তে।

তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী—

  • ৫৭১ জন সক্রিয় রেফারির মধ্যে ৩৭১ জনেরই বাজি ধরা অ্যাকাউন্ট রয়েছে

  • ১৫২ জন নিয়মিত বাজি ধরতেন

  • একজন রেফারি ১৮,২২৭ বার বাজি ধরেছেন

  • ৪২ জন রেফারি ১,০০০টিরও বেশি ম্যাচে বাজি ধরেছেন!

এমন অভিযোগ সামনে আসার পর তুরস্কের তৃতীয় ও চতুর্থ বিভাগের ম্যাচগুলো দুই সপ্তাহ ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে।

ফেডারেশনের তীব্র প্রতিক্রিয়া

TFF প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম হাজিওসমানোগ্লু বলেছেন—

“এটা শুধু বাজি ধরার ঘটনা নয়, এটা পুরো তুর্কি ফুটবলের জন্য বড় নৈতিক সংকট।”

এর আগেও ফেডারেশন ১৪৯ রেফারি ও সহকারী রেফারিকে বাজি তদন্তের কারণে স্থগিত করেছিল।

ফুটবলের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা

এখন ফুটবলপ্রেমীদের বড় প্রশ্ন—
এত বড় কেলেঙ্কারির পর তুর্কি ফুটবলের বিশ্বাসযোগ্যতা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হলো?
এবং সামনে আরও কত নাম উঠে আসতে পারে?

তদন্ত এখনও চলছে। নতুন তথ্য যেকোনো সময় প্রকাশ পেতে পারে।







*

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post